cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ড. বদর বিন নাদের মিশারি ::
মসজিদুল আকসা মুসলমানদের প্রথম কিবলা। মক্কা-মদিনার পর পৃথিবীর তৃতীয় সম্মানিত স্থান। কিন্তু এর নির্মাতা কে? কে তৈরি করলেন মসজিদুল আকসা? আবু যার (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, মসজিদুল হারাম কে নির্মাণ করেছেন? তিনি বললেন, আদম (আ.) নির্মাণ করেছেন। জিজ্ঞাসা করা হলো, মসজিদুল হারাম এবং মসজিদুল আকসা নির্মাণের মধ্যে কত বছরের ব্যবধান? তিনি বললেন, ৪০ বছরের। (বুখারি)
এ হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয়, মসজিদুল আকসার নির্মাতা আদম (আ.)। সুলাইমান (আ.) কর্তৃক নির্মিত হওয়ার যে বক্তব্য প্রসিদ্ধ আছে তা গ্রহণযোগ্য মত নয়। যেহেতু আদম (আ.)-এর নির্মাতা; এবং তিনি মুসলমানদের আদি পিতা, তাই কিয়ামত পর্যন্ত এই মসজিদ মুসলমানদের মালিকানাধীন সম্পদ।
কারো কারো কাছে এ বিষয়টি বোধগম্য নয় যে, মসজিদুল আকসার দায়িত্বশীল কে বা কারা? মূলত যখন যে নবীর আগমন ঘটবে, তিনিই হবেন এর দায়িত্বশীল। সুতরাং যদি আমরা নুহ (আ.)-এর যুগে বসবাস করতাম, তাহলে এর দায়িত্বশীল হতেন নুহ (আ.)। যদি আমরা থাকতাম দাউদ (আ.)-এর যুগে, তাহলে এর দায়িত্বশীল হতেন দাউদ (আ.)। একই কথা মুসা (আ.) ও অন্য নবীদের ক্ষেত্রে। কিন্তু যেহেতু মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের মধ্য দিয়ে রিসালাতের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং তারপর আর কোনো নবীর আগমন হবে না, তাই মসজিদুল আকসার দায়িত্বশীল মুহাম্মদ (সা.)। তার মৃত্যুর পর কিয়ামত পর্যন্ত আগত উম্মতরা।
মেরাজের ঘটনা আমাদের কাছে এ বিষয়টির প্রমাণ বহন করে। আল্লাহ যখন নবীজি (সা.)-কে মেরাজে গমন করানোর ইচ্ছা করলেন, কাবা থেকে প্রথমে মসজিদুল আকসায় গমন করালেন। মেরাজ শেষে আবার কেন মসজিদুল আকসায় অবতরণ করালেন। এমনটি কেন হলো? আল্লাহ তো নবীজি (সা.)-কে জমিন থেকে সরাসরি আকাশে গমন করাতে পারতেন! তিনি তো সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান! মূলত আল্লাহ তার প্রিয় রাসুল (সা.)-কে এই বার্তা দিচ্ছেন, আপনি ও আপনার উম্মত যেখানেই থাকুন না কেন, মসজিদুল আকসা যেন দৃষ্টির আড়াল না হয়। কখনোই যেন মসজিদুল আকসাকে ভুলে না বসেন।
নবীজি (সা.) বলেন, মেরাজের রাতে জিবরাইল (আ.) বোরাক নিয়ে আগমন করলেন। আমি বোরাকে আরোহণ করলাম। যখন আমরা রাতে মসজিদুল আকসায় পৌঁছালাম, বোরাককে একটি খুঁটির সঙ্গে বাঁধলাম। মসজিদে প্রবেশ করে হতবাক হওয়ার জোগাড়! এ তো দেখছি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্মেলন! পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে সুন্দর সমাবেশ! আদম (আ.) থেকে সব নবী বসে আছেন কাতারে কাতারে। প্রশ্ন দেখা দিল, নামাজ পড়াবেন কে? জিবরাইল (আ.) না আদি পিতা আদম (আ.)? না জাতির পিতা ইবরাহিম (আ.)? জিবরাইল (আ.) বললেন, ‘হে মুহাম্মদ (সা.)! আপনি ইমামতি করুন।’ নবীজির ইমামতিতে সব নবী নামাজ সম্পন্ন করলেন।
এ ঘটনা ছিল পূর্বাপর সব নবীর পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট বার্তা যে, ‘হে মুহাম্মদ! আমরা পুরো পৃথিবীর নেতৃত্ব আপনার হাতে সোপর্দ করলাম। আর মসজিদুল আকসার দায়িত্বভারও সঁপে দিলাম আপনার কাঁধে।’ সেদিনই নবীজি (সা.) এই গুরুদায়িত্ব বুঝে নিলেন এবং মৃত্যুর আগে তিনি তা পূর্ণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন।
তাই তো জীবদ্দশায় তিনি কয়েকটি সেনাদল প্রস্তুত করেছিলেন। মুতার যুদ্ধে সৈন্যদের পাঠিয়েছেন মসজিদুল আকসার প্রস্তুতিস্বরূপ। তাঁবুক যুদ্ধ ছিল মসজিদুল আকসায় প্রবেশের ভূমিকা। নবীজি ওসামা (রা.)-এর সৈন্যদলকে প্রস্তুত করেছিলেন শামে অভিযান পরিচালনার জন্য। কিন্তু উসামা (রা.) অভিযানের আগেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে আবু বকর (রা.) সেই অভিযান পূর্ণ করেন।
আবু বকর (রা.) তখন এক সংকটকাল পার করছিলেন। খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণের পর আরবের কোনো কোনো গোত্র ঈমান ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায়। কেউ কেউ জাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এদের দমন করার জন্য প্রয়োজন ছিল বিরাটসংখ্যক সৈন্যবাহিনী। তা সত্ত্বেও তিনি পূর্বগঠিত উসামা (রা.)-এর বাহিনীকে অভিযানে বের হতে বিরত রাখেননি। বরং সৈন্য বৃদ্ধি করে বাহিনী সুসংগঠিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে বাহিনী প্রস্তুত করে গিয়েছেন স্বয়ং রাসুল (সা.), সে বাহিনীকে আমি বাধা দিয়ে রাখতে পারি না।’ তিনি মসজিদুল আকসার গুরুত্ব খুব গভীরভাবে অনুধাবন করেছিলেন।
লক্ষণীয় যে, মসজিদুল আকসার বিজয় নবীজির হাতে হয়নি। হয়েছে উমর (রা.)-এর হাতে। এমনটি হলো কেন? উম্মতকে এই বার্তা দেওয়ার জন্য যে, নবীজির পর মসজিদুল আকসা হিফাজতের দায়িত্ব কিয়ামত পর্যন্ত আগত সমস্ত উম্মতের ওপর। উম্মত যেন এই মহান বার্তাটি হৃদয়ে ধারণ করে। এর গুরুত্ব অনুধাবন করে তা সংরক্ষণের সর্বাত্মক চেষ্টা করে।
নবীজি মক্কায় অবস্থানকালে পুরো সময় মসজিদুল আকসার দিকে মুখ করে নামাজ পড়তেন। সব সময় মনে রাখতে হবে, যত দিন ঈমানে শক্তি ছিল, তত দিন মসজিদুল আকসা আমাদের হাতেই ছিল। যখন ঈমান দুর্বল হয়ে গেছে, তখন শত্রুদের হাত তাকে গ্রাস করে ফেলেছে! নবীজি মসজিদুল আকসায় হিজরত করেছিলেন। তা পাহারা দিয়েছিলেন। তার আগে ইবরাহিম (আ.), ইসমাইল (আ.), ইসহাক (আ.), ইয়াকুব (আ.)-ও হিজরত করেন। বাদ পড়েননি ইউসুফ (আ.)ও। তিনি যখন ‘আজিজে মিসরে’র পদ লাভ করেন, তখন পরিবারকে মিসর নিয়ে আসেন এবং সেখান থেকে ফিলিস্তিন গমন করেন।
বিলাল (রা.)-এর আজানে ধন্য হয়েছিল মসজিদুল আকসার মিনার। তখন উমর (রা.)-এর শাসনকাল ছিল। বিলাল (রা.) রাসুল (সা.)-এর মৃত্যুর পর মদিনা ছেড়ে শাম গমন করেন এবং মসজিদুল আকসাতেই দিনাতিপাত করছিলেন। উমর (রা.) যখন মসজিদুল আকসা বিজয়ের পর চাবি হাতে পেলেন, তখন বিলাল (রা.)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেন। তিনি দেখামাত্রই বেলাল (রা.)-কে বুকে জড়িয়ে নিলেন। চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বললেন, স্বাগতম রাসুল (সা.)-এর সম্মানিত মুয়াজ্জিনকে! অনুরোধ করলেন, বেলাল! আজান দাও।